ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে বাবা-মায়ের সাথে ছাড়া প্রবেশ করা লাখো অভিবাসী শিশুকে চিহ্নিত করে নির্বাসনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে অভিবাসন এজেন্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই শিশুদের শনাক্ত করতে।
রয়টার্সের পর্যালোচনা করা এক অভ্যন্তরীণ স্মারকে বলা হয়েছে, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) একটি নতুন অভিযানের আওতায় এই অভিবাসী শিশুদের সন্ধান করবে। স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে, এই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে ২৭ জানুয়ারি থেকে, যদিও বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি।
অভিবাসন পরিস্থিতি ও শিশুদের অবস্থান
২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে ৬ লাখেরও বেশি অভিভাবকহীন শিশু দেশটিতে প্রবেশ করেছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, এই সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আইসিই-এর নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে,
✔ শিশুদের ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরার নোটিশ পাঠানো হবে।
✔ যাদের নির্বাসনের আদেশ রয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
✔ বিভিন্ন সরকারি ডাটাবেস ও রেকর্ড ব্যবহার করে শিশুদের অবস্থান শনাক্ত করা হবে।
✔ পরিবারের সাথে সম্পর্ক যাচাই করতে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবহার বাড়ানো হতে পারে।
নির্বাসনের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের তিনটি ক্যাটাগরি
আইসিই শিশুদের তিনটি ঝুঁকির গ্রুপে ভাগ করেছে:
উড়াল ঝুঁকি (Flight Risk) – যারা আদালতে হাজির হয়নি বা আত্মীয় নয় এমন স্পনসরদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্বজনীন নিরাপত্তা (Public Safety) – যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারে।
সীমান্ত নিরাপত্তা (Border Security) – সীমান্ত পারাপারের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত।
আইসিই কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে ‘উড়াল ঝুঁকি’ তালিকাভুক্ত শিশুদের শনাক্ত করতে বেশি জোর দিতে।
মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ
মানবাধিকার সংস্থাগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন নীতির কঠোর সমালোচনা করেছে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (ACLU) জানিয়েছে, ট্রাম্পের শূন্য সহনশীলতা (Zero Tolerance) নীতির ফলে ইতোমধ্যে ১,০০০-এর বেশি শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে আইসিই এবং মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
দৈনিক দুর্বার