বহু আকাঙ্ক্ষার অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ১০ মাস শেষ। আর দুই মাসেরও কম সময়ে এক বছর পূর্তি হবে। তখন হয়তো কঠিন আত্মত্যাগের এই সরকার নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করা হবে। সরকারের ভালো-মন্দ মূল্যায়ন হবে। হয়তো প্রশংসা কিংবা সমালোচনাও হবে।
যদিও গত ১০ মাসে আর কোনো খাতে কী সাফল্য-ব্যর্থতা বা অর্জন যাই হোক না কেন; অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য যে একটি কঠিন ক্রান্তিকাল পার করছে তার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা।
সরকারের শুরুতে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা মহলের দিক থেকে অনেক প্রত্যাশা ছিলো—হয়তো ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরবে। লুটপাট, অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচার কমবে। ডলারসংকট কাটবে। বেসরকারি খাতে ঋণ সহজলভ্য হবে। সুদের হার কমবে। মূল্যস্ফীতি সহনীয় হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলবে। বিদ্যুৎ-জ্বালানিসংকট কেটে গিয়ে কারখানা চলবে নিরবচ্ছিন্নভাবে। শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তায় সবার মধ্যে স্বস্তি আসবে। বাণিজ্য সাংবাদিকতার সুবাদে প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা হয়।
তাদের প্রায় সবারই এক কথা—এখনো তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বরং তাদের মধ্যে হতাশা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সম্প্রতি দেশের বেশ কয়েকজন শীর্ষ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতার সঙ্গে কথা হলে তারা এখন আর অভিযোগ করতে চান না। অনেকটা হতোদ্যমই বলা যায়। তারা বরং এখন কায়মনোবাক্যে চান সংকট থেকে উত্তরণ।