আইআরজিসি (Islamic Revolutionary Guard Corps – IRGC) হলো ইরানের একটি বিশেষ সামরিক বাহিনী, যা ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর গঠিত হয়। এর মূল কাজ হলো ইসলামি প্রজাতন্ত্রের আদর্শ ও শাসনব্যবস্থা রক্ষা করা। এটি ইরানের সাধারণ সেনাবাহিনী (আর্তেশ) থেকে আলাদা এবং সরাসরি দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ীর অধীনে পরিচালিত হয়।
শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা। যেমন- মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি – IRGC প্রধান, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি – সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ – IRGC এর এয়ার ফোর্স ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট প্রধান, জেনারেল গোলাম আলি রাশিদ – শীর্ষ কৌশলগত কমান্ডার। এছাড়াও, ছয়জন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
যে কারণে IRGC আলোচিত:
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে IRGC-কে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করে, যা প্রথমবারের মতো কোনো দেশের সরকারি সামরিক বাহিনীকে এমনভাবে চিহ্নিত করা হয়। ইসরায়েল ও পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে, IRGC ইরানের আঞ্চলিক আধিপত্য ও সন্ত্রাসবাদের পেছনে অন্যতম চালিকা শক্তি। এটি শুধু সামরিক নয়, বরং ইরানের অর্থনীতি, রাজনীতি ও গোয়েন্দা নীতিতে গভীরভাবে জড়িত।
যে কারণে আইআরজিসিকে টার্গেট করছে ইসরায়েল
* পারমাণবিক কর্মসূচির মূল রক্ষক হিসেবে IRGC
ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, ইরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করছে। IRGC সরাসরি ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনা করে। ফলে, পারমাণবিক কার্যক্রমে বাধা দিতে গিয়ে ইসরায়েল IRGC-এর উপরই হামলা চালাচ্ছে।
