ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বিনোদন সমু চৌধুরীর সবশেষ অবস্থা নিয়ে যা জানা গেল

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jun 14, 2025 ইং
বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্র জগতের পরিচিত মুখ, জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে ঘিরে গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনার ঝড় উঠেছে। । ছবির ক্যাপশন: বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্র জগতের পরিচিত মুখ, জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে ঘিরে গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনার ঝড় উঠেছে। ।
ad728

বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্র জগতের পরিচিত মুখ, জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে ঘিরে গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনার ঝড় উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের পাশে রাস্তার ধারে একটি গাবগাছের নিচে নিঃসঙ্গভাবে শুয়ে আছেন।

ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে ভক্ত, সহকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। দ্রুত বিষয়টিতে সাড়া দেয় স্থানীয় প্রশাসন ও অভিনয়শিল্পী সংঘ।

তবে পরে জানা যায়, এটি ছিল একটি ভুল বোঝাবুঝি। সমু চৌধুরী নিজেই জানান, তিনি প্রায়ই দেশের বিভিন্ন মাজারে ঘুরে বেড়ান মানসিক প্রশান্তির জন্য। এবারে তিনি বুধবার রাতে গফরগাঁওয়ের ঐ মাজারে যান। পরদিন সকালে নিজের পোশাক ধুয়ে গামছা পরে গাছের নিচে বিশ্রাম করছিলেন। সে সময় কে বা কারা তার ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এখান থেকেই পুরো বিভ্রান্তির সূত্রপাত হয়।

ঘটনার প্রকৃত চিত্র উদঘাটনের পর রাতেই সমু চৌধুরীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে পাগলা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো. ফেরদৌস আলম। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে তার খালাতো ভাই অপুর জিম্মায় দেওয়া হয়। এ সময় অভিনয়শিল্পী সংঘের কয়েকজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ঢাকায় ফেরার পর আরেকটি আবেগঘন সিদ্ধান্ত নেন এই অভিনেতা। তিনি সরাসরি যশোরে মায়ের কাছে ফিরে যান। শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে তিনি যশোর পৌঁছান বলে নিশ্চিত করেছেন তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দীর্ঘদিন পর মায়ের সান্নিধ্যে ফিরে যেন সব গুঞ্জন, ক্লান্তি ও বিভ্রান্তি ভুলে গিয়ে নতুন করে প্রাণ খুঁজে পান তিনি।

উল্লেখ্য, সমু চৌধুরী ১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘সমৃদ্ধ অসীম’ নাটকের মাধ্যমে টিভি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। প্রযোজক ছিলেন আতিকুল হক চৌধুরী। প্রথম নাটকের জন্য তিনি সম্মানী পেয়েছিলেন মাত্র সাতশ টাকা। এরপর মঞ্চ, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ১৯৯৫ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘আদরের সন্তান’ ছবির মাধ্যমে। এরপর তিনি ‘দোলন চাঁপা’, ‘শত জনমের প্রেম’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘দেশ দরদী’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘যাবি কই’, ‘সুন্দরী বধূ’ সহ একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

সমু চৌধুরীর এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে, তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা কতটা গভীর। আর সেই ভালোবাসাই হয়তো তাকে আবারও আলোয় ফিরিয়ে আনবে—চিরচেনা সমু চৌধুরী হয়ে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : বার্তা সম্পাদক

কমেন্ট বক্স