ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ‘যুদ্ধ শুরু’র ঘোষণা এবং ইসরায়েলিদের প্রতি ‘কোনো দয়া না দেখানোর’ আহ্বান জানানোর পরপরই ইসরায়েলে দুই দফায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। মঙ্গলবার (১৭ জুন) মধ্যরাতে এবং বুধবার (১৮ জুন) ভোরে সেসব হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলে ইরানের অন্তত ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। আজ বুধবার (১৮ জুন) এ তথ্য জানায় জর্ডানের সংবাদমাধ্যম রয়া নিউজ।
মধ্যরাতের পরপরই মধ্য ইসরায়েলে পরপর দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। এরপরই ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি শুরু হয়। ইসরায়েল ও ইরানের সূত্রের বরাতে বলা হয়, ২০ মিনিটের মধ্যে ৩০টি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, পরপর এই হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে মধ্য ইসরায়েলের একটি পার্কিং লটে আগুন লেগে যায়।যার ফলে অসংখ্য গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুন সরাসরি আঘাতের ফলে লেগেছে না কি কোনো ধ্বংসাবশেষ পড়ে লেগেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
এ হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের দাবি করে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে আইআরজিসি দাবি করে, ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে গর্বিত অপারেশন-এর ১১তম ধাপ পরিচালিত হয়েছে। ইরানি বাহিনী অধিকৃত অঞ্চলের আকাশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে।