শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ | ২২ জুন ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আবুল ফজলকে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে গ্রেফতার করার ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শুরু করে সারা জেলায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
গত শনিবার (২২ জুন) রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথের নেতৃত্বে এক বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে সহিংসতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে স্থানীয় আন্দোলনকারীদের মতে, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও গণআন্দোলন দমনের কৌশল।
আবুল ফজল চলতি বছরের ১৭ জুলাই ছাত্রলীগ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ যোগ দেন এবং শায়েস্তাগঞ্জ ও হবিগঞ্জে জুলাই আন্দোলনে সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
স্থানীয়রা বলছেন, "আবুল ফজল ছিলেন একজন প্রতিবাদী তরুণ, যিনি গণমানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁকে গ্রেফতার করা মানেই সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা।"
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে মুক্তির দাবিতে একযোগে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। তরুণ সমাজ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং মানবাধিকারকর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন—
"একজন আন্দোলনকর্মীকে ছাত্রলীগের তকমা দিয়ে গ্রেফতার করাটা পুলিশের অপেশাদার আচরণ। আমরা এই গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দ্রুত তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করি।"
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সহিংসতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
আবুল ফজলের গ্রেফতারের ঘটনায় আগামী কয়েকদিনে শায়েস্তাগঞ্জ ও আশেপাশের এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা ইতিমধ্যে পরবর্তী কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।