মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে রোববার থেকে শুরু হয়েছিল শারদীয় দুর্গাপূজা। একে একে মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমীর পরে আজ আনন্দ আর বিষাদের মিশেল মহানবমী। এদিন ষোড়শ উপাচারে দেবী সিদ্ধিধাত্রীর আরাধনায় মুক্তির পথ খোঁজেন ভক্তরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে সে উপলক্ষে কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা শুরু হয়। দেবী সিদ্ধিধাত্রীর আরাধনার মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। অঞ্জলীর মাধ্যমে নবমীর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। দেবীর বিদায় ক্ষণের বেদনাও বাজতে থাকে হৃদয়ে।
তারপরও সব ছাপিয়ে, আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের কমতি নেই মণ্ডপে মণ্ডপে। এদিকে সন্ধ্যায় মহাআরতির পর শুরু হবে দেবীর কৈলাশে ফেরার প্রস্তুতি।
প্রসঙ্গত, দেবীর আগমন সপ্তমী তিথিতে। গমন হয় দশমী তিথিতে। সপ্তমী ও দশমী তিথি কোন বারে পড়েছে, তার ওপর নির্ভর করে বাহন। সে অনুযায়ী এবছর গজে চড়ে মর্তে এসেছেন মহিষাসুরমর্দিনী।
আগামীকাল ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী কৈলাশে ফিরবেন দোলায় চড়ে। শাস্ত্র মতে, সবচেয়ে শুভ মনে করা হয় গজ বা হাতিতে চড়ে গমনাগমন। এটি শস্য ও স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতীক। তবে সবচেয়ে অশুভ মনে করা হয় দোলা বা পালকিতে।
এদিকে আজও ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।