লিবিয়ায় মানবপাচার ও মুক্তিপণ আদায়ের চক্রের মূল হোতা ফখরুদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গতকাল বিকেল পৌনে ৬টায় মিসরের কায়রো থেকে ঢাকায় অবতরণের পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তাকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ট্রাফিক হেলপার শওকত আলীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশিদের লিবিয়ায় পাচার করত ফখরুদ্দীন ও তার চক্র। সেখানে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে ভুক্তভোগীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হতো। মুক্তিপণ আদায়ের পরও তাদের মুক্তি না দিয়ে অন্য পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দিত তারা।
এক ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান সুমন জানান, “আমাদের ছোট্ট একটি অন্ধকার কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। দিনে একবার পচা খাবার দিত, পানি পর্যন্ত দিত না। টাকা না দিলে লোহার রড দিয়ে পেটানো হতো, কেউ কেউ বিদ্যুতের শকও খেয়েছে।"
সুমনের মতো আরও ১৬ বাংলাদেশি এখনো লিবিয়ার বেনগাজির একটি বন্দিশিবিরে আটকে রয়েছেন। তাদের স্বজনরা ঢাকার বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমাদের সন্তানদের মুক্তির জন্য লাখ লাখ টাকা দিয়েছি, কিন্তু তারা এখনো বন্দি! ফখরুদ্দিন আমাদের সর্বনাশ করেছে, ওর কঠোর শাস্তি চাই!”