নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন নানামুখী আলোচনা চলছে, তখন একাধিক বিশ্লেষক মনে করছেন, ভারতকে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় টেক্কা দিতে হলে নেতৃত্বে প্রয়োজন ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তিত্ব।
অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
ড. ইউনুস একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, যিনি ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা চালু করে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিল্পায়ন, বিদেশি বিনিয়োগ ও আর্থিক স্থিতিশীলতা আরও জোরদার হতে পারে বলে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।
আইনশৃঙ্খলা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে কৌশলগতভাবে মোকাবিলা করতে হলে বাংলাদেশকে প্রথমেই দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। ২০০৮ সালের মতোই কঠোর অ্যাকশন নিলে সরকার আরও কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিদেশি বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করতে হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করা প্রয়োজন। ভারত যেখানে বড় শিল্প প্রকল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি করছে, সেখানে বাংলাদেশও সেই পথে এগিয়ে যেতে পারে, যদি সঠিক নেতৃত্ব থাকে।
কূটনৈতিক কৌশল
বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশ যদি স্বাধীনভাবে শক্তিশালী অবস্থান নিতে চায়, তবে প্রয়োজন একটি দক্ষ কূটনৈতিক নেতৃত্ব। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে ন্যায্যতার ভিত্তিতে পুনর্গঠন করতে পারলে বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।
সিদ্ধান্ত জনগণের হাতে
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ যদি সত্যিই ভারতকে টেক্কা দিতে চায়, তাহলে অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের বিকল্প নেই। আর এই পরিবর্তনের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো একজন দূরদর্শী নেতা প্রয়োজন হতে পারে। তবে এটি বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব, তা সময়ই বলে দেবে।
দৈনিক দুর্বার