যার সাহায্য প্রয়োজন আর যিনি সাহায্য দিতে চান তাদের মধ্যে দূরত্ব এখন আর বাধা নয়। দাতা-গ্রহীতার মধ্যে এই দূরত্ব দূর করে বিকাশের মতো প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে মানবিক ও সামাজিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার বিশ্বস্ত মাধ্যম। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কিংবা দূরত্বের দেয়াল ভেঙে, মানুষের ভালোবাসা পৌঁছে যাচ্ছে সঠিক ঠিকানায়। উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে, দানের প্রচলিত পদ্ধতিতে বিকাশ এনেছে আমূল পরিবর্তন; নিশ্চিত করছে প্রতিটি সাহায্য যেনো দ্রুত আর নিরাপদে পৌঁছে যায় সঠিক মানুষের কাছে।
যার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তার কাছে দানের টাকা পৌঁছানো একটা সময় কঠিন ছিল। তবে এখন বিকাশের গ্রাহক-বান্ধব ডোনেশন ইন্টারফেস এই বাধাগুলো দূর করেছে। স্মার্টফোনের কয়েকটি ট্যাপেই ৪০টি সংস্থার মাধ্যমে কোটি কোটি অসহায় মানুষের জন্য সাহায্য পাঠানো যাচ্ছে। যিনি দান করছেন তার জন্য দানের প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায়, মানবিকতার প্রকাশ এখন আরও সাবলীল হয়েছে এবং আরো বেশি মানুষ তার সাধ্যমতো দান করছেন।
বাড়িতে থাকা পরিবারকে একটু বেশি টাকা পাঠানোর জন্য নিজের সেহেরি-ইফতার মাস্তুল ফাউন্ডেশনের মেহমানখানায় সারেন ভ্রাম্যমাণ বাদাম বিক্রেতা মোমিন আলী। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মোমিন বলেন, কোনরকম বাদাম বিক্রি করে সংসার চলে, খাবারের জন্য চিন্তা করতে হয় না, এইটা বড় রহমত। রমজান মাসে সুবিধাবঞ্চিত এমন লাখো মানুষের সেহরি-ইফতার নিশ্চিন্ত, নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, মজার স্কুল, জাগো ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট সহ নানান সেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতিদিন লাখো মানুষ সেহরি-ইফতার এই নিশ্চয়তার সঙ্গে জুড়ে আছেন সারাদেশের নানা প্রান্তের অসংখ্য দাতা। দাতা-গ্রহীতার এই সেতুবন্ধনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুদান সেবা। অসংখ্য মানুষের ক্ষুদ্র অনুদানকে একত্রিত করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর কাজকে গতিশীল রাখে বিকাশের মতো মোবাইল আর্থিক সেবা প্ল্যাটফর্মগুলো।
বিকাশের ডোনেশনের বদৌলতে যাদের জীবনে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে, তাদের একজন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের শাহিদা। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত দুই সন্তানের মা, স্বামী-পরিত্যক্তা শাহিদার জীবনের গল্পটি কঠিন বাস্তবতার এক নির্মম প্রতিচ্ছবি। দুই সন্তানকে নিয়ে চলছে তার জীবনসংগ্রাম।