মরণব্যাধি ক্যান্সার। এই রোগ মানবজীবনে এক আতঙ্কের নাম। ক্যান্সার প্রতিরোধে সুস্থ জীবনযাত্রার পাশাপাশি সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। কোনও খাবারই এককভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে না। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কিছু খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব খাবারের বেশিরভাগই অত্যন্ত সাধারণ, কিন্তু এতে অত্যন্ত শক্তিশালী ক্যান্সার-প্রতিরোধী যৌগ রয়েছে। যেমন-
১. ব্রোকলি ও অন্যান্য ক্রুসিফেরাস সবজি
যেমন: বাঁধাকপি, ফুলকপি, কলি শাক
উপকারিতা: এগুলিতে সালফোরাফেন নামক একটি যৌগ থাকে যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধে সহায়ক।
২. টমেটো
উপকারিতা: এতে থাকা লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
৩. বেরি (ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি)
উপকারিতা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ; কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪. গাজর
উপকারিতা: বিটা-ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।
৫. রসুন
উপকারিতা: এতে থাকা অ্যালিসিন যৌগ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে (বিশেষ করে পাকস্থলি ও কোলন ক্যান্সার)।
৬. বাদাম ও বীজ
যেমন: আখরোট, আমন্ড, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড
উপকারিতা: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, স্তন ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৭. গ্রিন টি
উপকারিতা: এতে থাকা ক্যাটেচিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে।
৮. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ
যেমন: সালমন, সারডিন
উপকারিতা: প্রদাহ হ্রাস করে এবং কোষের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
৯. কমলা, লেবু ও অন্যান্য সাইট্রাস ফল
উপকারিতা: ভিটামিন সি ও ফ্ল্যাভোনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
১০. সম্পূর্ণ শস্য (Whole Grains)
যেমন: ওটস, ব্রাউন রাইস, কুইনোয়া
উপকারিতা: ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সুস্থ জীবনযাপন, যেমন ধূমপান পরিহার, পরিমিত ওজন বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং নিয়মিত চিকিৎসা পরীক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : বার্তা সম্পাদক