কুড়িগ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদে রুমি বেগম (৩৮) এর উপর পরপর দ্বিতীয় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্বামী আব্দুল করিম (৪২)।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরে মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকে দলবদ্ধ হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আহত রুমি বেগমের উপর দ্বিতীয় দফা এই হামলা চালায়। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন স্বামী আব্দুল করিমও। এ ঘটনায় সাধারণ রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে জামাইয়ের কাছে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা গ্রামের সোহেল মিয়া নামে এক কিশোর ২ হাজার টাকা পান। টাকা দিতে গড়িমশি করায় সোহেল ও তার কিশোর বন্ধু ইব্রাহিম এবং জামিল আব্দুল করিমের কদমতলার বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী রুমি বেগমের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে কিল, ঘুষি মারে। এসময় চাকু দিয়ে আঘাত করলে আহত রুমি বেগমের কপাল ফেঁটে যায়। এতে ৪টি সেলাই পরে। মারপীটের এ ঘটনায় এলাকার উত্তেজিত লোকজন কিশোর সোহেল মিয়াসহ তার বন্ধুদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে দু’পক্ষের সিদ্ধান্তে পুলিশের উপস্থিতিতে কিশোরদের অভিভাবকের জিম্মায় দেন পুলিশ প্রশাসন।
এদিকে আহত রুমি বেগমকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডে ৭নম্বর কক্ষে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোর রাতের দিকে সোহেলসহ তার ৬/৭জন কিশোর বন্ধু কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে থাকা ঘুমন্ত রুমি বেগমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা অসংলগ্ন অবস্থায় রুমি বেগমের উপর বেধড়ক মারপিট ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এতে রুমি বেগমের স্বামী আব্দুল করিম বাঁধা দিতে গেলে দূর্বৃত্তরা তার উপরেও চড়াও হয়ে লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে। কিল ঘুষি মারতে মারতে তার কাছে রক্ষিত নগদ টাকা কেড়ে নিয়ে দ্রুত বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় পুরো হাসপাতাল জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পরে। অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনরা বাঁধা দিতে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। যা সিসিটিভি ফুটেজে সংরক্ষিত আছে। এ ঘটনায় আহত দম্পতির ছোট ভাই মোঃ আব্দুস সালাম কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।