প্রিজাইডিং অফিসারের সাতকাহন!
নির্বাচনে দায়িত্ব পালন যেমন মর্যাদার তেমনি চ্যালেঞ্জের। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয় জনগণের প্রতিনিধি। গণতান্ত্রিক এ সৌন্দর্য উপহার দেয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা-সততা ও সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। একটি কেন্দ্রে সফল ভোট অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় সার্বিক দায়িত্ব পালন করতে হয় প্রিজাইডিং অফিসারকে। মূলত নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের চিঠি ইস্যু হওয়ার পর থেকেই একজন প্রিজাইডিং অফিসারের মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে একেবারে নতুনদের ক্ষেত্রে তা কিছুটা উৎকন্ঠা ও অস্থিরতার। যেহেতু তারা নতুন ও ভিন্ন বিভাগে দায়িত্ত্ব পালন করে থাকেন। তাই একজন প্রিজাইডিং অফিসারের জন্য নির্বাচনপূর্ব প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়ালটি গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন অপরিহার্য্য। যদিও প্রশিক্ষণটি একেবারেই সংক্ষিপ্ত। তবে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা আর ম্যানুয়ালের নির্দেশনার পাশাপাশি একজন প্রিজাইডিং অফিসারের উপস্থিত বিচক্ষণতা একটি কেন্দ্রের সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। প্রশিক্ষণের পর নির্বাচনের দুই/তিনদিন আগে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের নিয়ে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে আসাটা প্রয়োজন হয়। এ সময় ভোটকেন্দ্রে অবস্থান ও প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালনের জন্য নিরাপদ কক্ষ এবং ভোটার অনুপাতে ভোটকক্ষ ও বুথের জন্য নির্ধারিত স্থান নির্বাচন করতে হয়। বুথ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাপর, সীমানা নির্ধারণের জন্য লাল কাপর, সুতলী ও অন্যান্য কতিপয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাইরে থেকে কিনে নেয়া লাগে। বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচনের দিন সকালে নির্বাচন সরঞ্জাম কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভোটের আগেরদিন প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝে নিতে হয়। সরঞ্জামের সাথে কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারীদের সম্মানী অর্থ, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা খরচ ও শীট বুঝে নিতে হয়। এ সময় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পুলিশ ও আনসার সদস্যগণ উপস্থিত থাকে। এদের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের কাজটি করতে হয় প্রিজাইডিং অফিসারকে। ব্যালটপেপার, ফলাফলশীট ও নির্বাচনী সরঞ্জাম তালিকা ও হিসাব অনুযায়ী অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ও সঠিকভাবে বুঝে নিতে হয়। সরঞ্জাম বুঝে নেয়ার পর পুলিশ ও আনসার সদস্যদের প্রহরায় রওনা দিতে হবে ভোট কেন্দ্রের উদেশ্যে। ভোটকেন্দ্রে পৌছেই নিরাপদ কক্ষে অবস্থান নিতে হয়। প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় আলমিরার চাবি নিজের কাছে নিতে হবে। আলমিরায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ব্যাগ ও সরঞ্জাম সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। চাবি সর্বাবস্থায় প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট থাকবে। নিরাপদ কক্ষটির দরজার সামনে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা রক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এরপর ভোট কেন্দ্র প্রস্তুত করতে হয়। এই সময় কিছু স্থানীয় জনগণ কেন্দ্রে থাকতে পারে। তাদেরকে সৌজন্যতার সাথে কেন্দ্র থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার জন্য আহবান করতে হবে। সেইসাথে তাদের মনে এমন আশ্বস্ত অনুভূতির সৃষ্টি করতে হবে যে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। ভোটার সংখ্যার অনুপাতে কাপর দিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুথ স্থাপন করতে হবে। লাইট ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে। ভোট কক্ষে ব্যালট বাক্স, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পোলিং এজেন্টদের বসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ভোটার তালিকা অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক নারী ও পুরুষ ভোটারের আলাদা কক্ষ নির্দিষ্ট করে ভোট কক্ষের সামনে পোষ্টারে লিখে তা লাগিয়ে দিতে হবে। দরজার সামনে কয়েকটি বাশ ও সুতলী দিয়ে ভোটারদের লাইন ঠিক রাখার সাবলীল ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের দিয়ে ভোট কেন্দ্রের চারপাশে লাল কাপর/নিশানা স্থাপন করতে হবে। বাশ-খুটি ও অন্যান্ন সামগ্রী সংগ্রহে স্থানীয় আনসার সদস্যের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। যেহেতু পুলিশ, আনসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ প্রায় বিশ জনের একটি দল তাদের রাতের , ভোটেরদিন সকাল ও দুপুরের খাবারের সাধারন ব্যবস্থা করতে হয়। ব্যবস্থাটি প্রিজাইডিং অফিসারের সমন্বয়েই হয়ে থাকে। যা স্থানীয় আনসার সদস্যের মাধ্যমে করাটাই ভালো। এক্ষেত্রে সবাই প্রিজাইডিং অফিসারের দিকেই মনোযোগী থাকে। যদিও কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বাবদ যে অর্থ দেয়া হয় তা দিয়ে এর কিছুই হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসারের পকেট থেকে নয়ত সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে খাবারের ব্যবস্থাটি করতে হয়। কখনো প্রার্থী কিংবা তার সমর্থকরা উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। অত্যন্ত বিনয়ের সাথে হাসিমুখে তাদের এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে হবে। ভোটকেন্দ্রে সবাইকে নিয়ে রাত্রি যাপন করতে হয়। অধিকাংশ নির্বাচন শীতকালে হয়ে থাকে। তীব্র শীতের রাত। বিছানার সুযোগ নেই। সেইভাবেই রাত যাপনের মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। সহকারী প্রিজাইডিং কিংবা পোলিং অফিসার নারী সদস্য হলে সাধারণত ভোটের দিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হন। রাতের বেলায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের রোস্টারটি প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে রাখবেন। খামসহ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ লেখালেখির কাজ থাকে। যা অভিজ্ঞ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় রাতের বেলায়ই গুছিয়ে রাখতে হবে। ভোট কক্ষ ও বুথের হিসাব অনুযায়ী ব্যালট বাক্সগুলো সিরিয়াল অনুযায়ী প্রস্তুত করে রাখতে হবে। রাতের বেলায় সবাই সতর্ক অবস্থানে আছে কিনা খেয়াল রাখা প্রয়োজন। অভিজ্ঞতায় দেখেছি কিছু আনসার সদস্য স্থানীয় জনগণ এবং সহকর্মীর সাথে গল্পগুজবে আগ্রহী থাকে। আবার কিছু আনসার থাকে মেধাবী ও দায়িত্ত্ব সচেতন। পুলিশ সদস্য চৌকষ হলে মুহূর্তেই দায়িত্ব পালনে সবাইকে সচেষ্ট রাখা সহজ হয়। রাতে ভোট কেন্দ্রের কাছাকাছি লাল নিশানার ভিতরে সমর্থকদের জটলা থাকতে পারে। পুলিশ সদস্যদের দিয়ে জটলা সড়িয়ে দিতে হবে। বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত দূরত্বের ভিতরে কোন প্রার্থীর পোস্টার টানানো এবং নির্বাচনের দিন অবস্থান কেন্দ্র করতে দেয়া যাবেনা। রাতে ভোটকেন্দ্র অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের গেট থাকলে তা বন্ধ করে দিতে হবে।
ভোটেরদিন খুব সকালে পোলিং এজেন্টসহ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সকলের পরিচয়পত্র ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে দিতে হবে। এ সময় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যেন পোলিং এজেন্টের নিকট কিছুতেই মোবাইল না থাকে। নির্দিষ্ট সময়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের হিসাব অনুযায়ী ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জাম বুঝিয়ে দিতে হবে। যা প্রিজাইডিং অফিসারকে ধারাবাহিকভাবে লিখে রাখতে হবে। ভোট কক্ষে গিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারগন পোলিং অফিসারদের সহযোগিতায় খালি ব্যালটবাক্স খুলে পোলিং এজেন্টসহ উপস্থিত সবাইকে দেখাবেন। এরপর নির্ধারিত চাবি দিয়ে ব্যালটবক্স তালাবদ্ধ করে দিবেন। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে ভোট গ্রহণ শুরু করবেন।
বাহিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছে তারা শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি নিজ অবস্থানে থেকে সতকর্তার সাথে দায়িত্ব পালন করছে কিনা লক্ষ রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পর পর কি পরিমান ভোট পড়েছে তার হিসাবটি লিখে রাখতে হবে। কোন সাংবাদিক কিংবা নির্বাচন পর্যবেক্ষক আসলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নিকট তার পরিচয় পত্র দেখাবেন। কোন প্রার্থী কিংবা ভোটারদের পক্ষে কোন অভিযোগ থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকলে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে দেশে এমন জনগণও আছে যারা ঘূর্ণিঝড়ের নাম মহাসেন না মোহাসেন এ নিয়ে খুনাখুনি পর্যন্ত করে ফেলে! আর এটা তো ভোট! পক্ষে-বিপক্ষে ভোটের যুদ্ধ! সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় ব্যালটের নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে স্ট্রাইকিং ফোর্স এক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে সমাধান করে ভোট কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে সম্পাদন করতে পারাটাই স্বার্থকতার। ঠিক দুপুর বেলা ভোটার উপস্থিতি কম থাকে এবং শেষের দিকের সময়টি বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে। অধিকন্তু এ সময়টাতে সুযোগসন্ধানীরা অন্যায়ের সুযোগ খোঁজে থাকে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের লক্ষে প্রতিটি নির্দেশনা সঠিকভাবে অনুসর করতে হবে।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলে গণনার প্রস্তুতি নিতে হবে। এজেন্টসহ সকলের সম্মুখে ব্যালট বক্সগুলো খুলতে হবে। এ সময় প্রতি প্রার্থীর একজন করে এজেন্ট উপস্থিত থাকবে। প্রযোজ্য অনুযায়ী এজেন্টদের নাম শীটে উল্লেখ করে স্বাক্ষর নিতে হবে। দরজা বন্ধ থাকবে। বাহির থেকে কোনক্রমেই যেন কেউ ভিতরে প্রবেশ কিংবা ভিতর থেকে কেউ বাহিরে যেতে না পারে।
সকল বৈধ ও বাতিল ভোটগুলো আলাদা করার পর গণনা করে একশটি করে বান্ডেল করা পর্যবেক্ষন করতে হবে। সতর্কতার সাথে ভোট গননা শেষ করতে হবে। অবশ্য ইভিএম এ ভোট হলে এসবের প্রয়োজনই হবে না। ভোট গণনা সমাপ্ত হলে সচ্ছতার সাথে ফলাফল শীট লিখতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যেন কোন ভুল কিংবা কাটাকাটি না হয়। এরপর প্রজাইডিং অফিসার ফলাফল শীটে স্বাক্ষর ও সীল দিবেন। এর ভিতরেই দায়িত্বপালনকারীদের সম্মানী বিতরণ ও শীটে স্বাক্ষর নিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ভোটের জন্য ব্যবহৃত কোন কাগজ কিংবা সরঞ্জাম যেন কেন্দ্রে পড়ে না থাকে। সব ব্যাগে ভরে নিতে হবে। এরপর ফলাফল শীটের এক কপি দৃশ্যমান দেয়ালে টানিয়ে দিবেন। উপস্থিত জনতার সামনে ফলাফল ঘোষণা করে দ্রুত ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করবেন। কেন্দ্র শান্তিপূর্ন থাকলে সহজ আর ঝুঁকিপূর্ণ থাকলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কেন্দ্র ত্যাগ করবেন।
নির্বাচন অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ হলে কেন্দ্রের সার্বিক দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার জায়গা থেকে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকেন। প্রতি মুহূর্তে তাকে মানসিক পরীক্ষা ও দিতে হয়। এজন্য প্রিজাইডিং অফিসারের কাজে সহযোগিতার জন্য শুধুমাত্র দাপ্তরিক সহযোগিতা দিতে একজন অতিরিক্ত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দেয়ার দাবী জানাই। পাশাপাশি কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বাবদ কোন খরচ না দিয়ে আলাদা কোন টিমকে কেন্দ্র প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। দায়িত্ব পালনকারী সকল সদস্যের জন্য একই রকম নাস্তা ও খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। সকলের সম্মানী মোবাইল ব্যংকিং অথবা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে প্রেরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ডিজিটাল যুগে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইটিং অফিসারকে অর্থ সাথে নিয়ে ব্যাংকের ভল্টের নিরাপত্তা কর্মীর ভূমিকায় রাখা কতটা যৌক্তিক তা পুনরায় বিবেচনা করা প্রয়োজন।
সবশেষে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ফলাফল শীট এবং নির্দেশনা অনুযায়ী খামগুলো সিলগালা করে যথাযথভাবে সব নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝিয়ে দিতে হবে। ফলাফল শীটের এক কপি নির্বাচন কমিশনে ডাকযোগে প্রেরণ ও এক কপি প্রিজাইডিং অফিসার নিজের কাছে রেখে দিবেন। একটি সফল নির্বাচন অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশান্তির অনূভুতি ছুয়ে যাবে প্রিজাইডিং অফিসারসহ সকলকে। রাষ্ট্রীয় এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ত্ব পালনকারী সকলের জন্য শুভকামনা!
দৈনিক দুর্বার