তেতুলিয়ায় জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। অগ্রহায়ণের শেষ সপ্তাহেই যেন পৌষের কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। আর দিন দিন বাড়ছে এর তীব্রতাও। ফলে একরকম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে হিমালয় পাদদেশে অবস্থিত পঞ্চগড়।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
এর আগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও এটি বলে জানা গেছে।
তেঁতুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় গত কয়েক দিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।
এছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও তেমন কমছে না শীতের তীব্রতা। সারাদিন ঠান্ডা আবহাওয়া আর শেষ বিকালে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায় বলে দাবি স্থানীয়দের।
হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষজন। সকালে কাজে বের হয়ে অনেককেই অতিরিক্ত শীতবস্ত্র পরেও কাজ করতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থদের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ছে। নিম্নআয়ের বহু পরিবার শীতবস্ত্রের সংকটে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, শীত মৌসুমে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো জেলা প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি জানান, এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে পঞ্চগড় জেলায় শীতবস্ত্র সহায়তার জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৬৪০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কম্বলের প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
Reporter